একটি আদর্শ হোস্টিং বাঁচাইয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো জানা অত্যাবশ্যক

choose ideal hosting

বর্তমান সময়ে টেকনোলজির অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এখন, পোর্টফোলিও অর্থাৎ, নিজের ব্যক্তিগত একটি ওয়েবসাইট থেকে শুরু সার্ভিস রিলেটেড ওয়েবসাইট কিংবা ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে ব্যাঙয়ের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য হোস্টিং কোম্পানি। যাদের স্থায়িত্ব স্বল্প সময়ের জন্য। অনেকেই তাদের থেকে সার্ভিস নিয়ে প্রতিারিত হচ্ছেন কিংবা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।

তাই হোস্টিং কেনার পূর্বে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল করে হোস্টিং কিনলে আপনি সঠিক হোস্টিং বাঁচাই করতে পারবেন এবং ভোগান্তি থেকে বাঁচবেন।

আমরা ধারাবাহিক এইসব বিষয়ে আলোচনা করব সামনে ইনশা আল্লাহ।

১। হোস্টিং কেনার পূর্বে তাদের রেগুলার প্রাইস এবং অফার প্রাইস জেনে নিবেন। অনেক কোম্পানি প্রথম বছরে অফার প্রভাইড করে কিন্ত পরবর্তী বছর থেকে রেগুলার প্যাকেজে রিনিউ করতে হয়।

২। কোম্পানি কোন বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে সেটা তাদের থেকে জেনে নিয়ে গুগলে সার্স করে ভেরিফিকেশন লিংক নিয়ে চেক করে দেখবেন যে তারা কি লিগ্যালি এসব ব্যবহার করে নাকি ইলিগ্যাল।

নোটঃ দেশের অধিকাংশ প্রোভাইডার WHMCS বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে। গুগলে Verify whmcs লিখে সার্চ করলে একটা লিংক আসবে সেখানে ডোমেন দিলেই দেখাবে যে সেটা ভেরিফাই করা কি না। যদি দেখেন This domain is authorized to be using WHMCS.

তাহলে সেটা ভেরিফায়েড। আর যদি অন্য কিছু দেখেন তাহলে তাদেরকে বলবেন কোন ডোমেনে তারা whmcs ব্যবহার করে সেটার লিংক দিতে যদি সেই কোম্পানির অন্য কোন লিংক থাকে।

৩। আপনি ট্রায়াল চেয়ে দেখতে পারেন তারা আপনাকে ট্রায়াল দেয় কি না। যদি কোম্পানি ট্রায়াল দিতে রাজি না হয় তাহলে বুঝবেন সেখানে কোন ঘাপলা আছে।

৪। তাদের সি-প্যানেল ভেরিফায়েড কিনা সেটাও যাচাই করে নেওয়ার জন্য Verify cpanel লিখে গুগলে সার্চ করে তাদের কাছ থেকে আইপি নিয়ে চেক করুন। কোম্পানির মেইন আইপি সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে।

৫। মোটামুটি প্রায় সব কোম্পানি মানিব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে থাকে তাদের পালিসিতে সেটা উল্লেখ থাকে। সুতরাং তাদের পলিসিটা পড়ুন হোস্টিং নেয়ার পূর্বে। তাদেরকে সাপোর্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

৬। বিভিন্ন ডোমেন হোস্টিং গ্রুপে তাদের সার্ভিস সম্পর্কে মতামত নিন। সেখান থেকে একটা আইডিয়া করতে পারবেন তাদের সার্ভিস সম্পর্কে।

৭। হোস্টিং কেনার পূর্বে তাদের প্যাকেজটা ভালোভাবে দেখে নিন যে সেখানে ফাইল ইউজেস লিমিট আছে কি না। যদি থাকে তাহলে আপনাকে যত স্টোরেজ দেয়া হোক না কেন সেই ফাইল লিমিটের মধ্যেই আপনি যতটুকু স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারছেন সেটাই ধর্তব্য।

সামনে আরো বাকি পয়েন্ট গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
যদি ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট করবেন। যদি কোন কিছু জানার প্রয়োজন হয় তাহলে কমেন্ট বক্স তো আছেই।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ধৈর্য নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।