একটা ওয়েবসাইট এর ডিজাইন নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয় তার সম্যক ধারণাঃ

website design idea

আমরা যখন একটি ওয়েবসাইটের প্রজেক্ট শুরু করব তখন এইটা কোন ক্যঅটাগরির ওয়েবসাইট সেটা আগে বুঝতে হবে। আগেই আমরা ওয়েবসাইটের লে আউট সম্পর্কে কিছু ধারণা পেয়েছি। এখন যেটা যে ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট আমাদেরকে সেই ধরণের লে আউট ডিজাইন করতে হবে। সুতরাং গুগল এই স্পেসিফিক ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট গুগল করব এবং কয়েকটা ওয়েবসাইট দেখব যাতে করে আমাদের জন্য একটা আইডিয়া জেনারেইট করা সহজ হয়।  তারপর আমরা যখন একটা সিদ্ধান্তে আসব যে এই রকম স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করব তখন প্রয়োজনে একটা নোটবুকে এর একটা স্কেচ করে নেয়া। যেটা বলা হয় ওয়্যার ফ্রেমিং। যদিও এইটা অনেক বিশাল কিছু বিষয় একটা প্রপাার ওয়্যার ফ্রেমিং করা কিন্ত আমরা সেই দিকে যাচ্ছি না। আমাদের কাজের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের মত করব। 

একটা এক্সাম্পল কিভাবে আমরা সেই কাজটা করব। আমরা যেহেতু গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করছি না যে একটা প্রপার ওয়্যার ফ্রেম করে একটা ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস তৈরি করব। তবে কেউ চাইলে সেটার এপ্লাই করতে পারেন। ফিগমা এক্ষেত্রে খুব হেল্পফুল টুল।

IMAGE

বেসিক কালার কম্বিনেশন এর ধারণাঃ

আপনি যদি একজন ভালো ওয়েবসাইট কাস্টমাইজার পরবর্তীতে ডিজাইনার বা ডেভেলপার হতে চান আপনাকে কালার কম্বিনেশন জানতে হবে। আমরা মনে করি আপনার এই বিগিনিংয়ের এই স্টেপ টা কেবলই একটা ডেস্টিনেশন না। এই খান থেকেই আপনার ওয়েব রিলেটেড এডভান্সমেন্টের যাত্রা শুরু। আর আমরা আপনাকে সেভাবেই প্রিপেয়ার করতে চাই তাইতো আমাদের বিগিনার লেভেলেও এইসব এডভান্স টপিকের উপর আলোচনা যা হয়তো আপনার জানার পরিধিকে আরেকটু বােড়িয়ে তুলবে।

এখন আমরা টপিকে চলে যায়। আমরা কথা বলতেছিলাম কালার নিয়ে যার পরিধি অনেক ব্যাপক। কিন্ত আমরা আমাদের প্রয়োজনে এই বিষয়টি কিভাবে ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে একটি সুন্দর ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করব তাই মূলত দেখার চেষ্টা করব। এই বিষয়টি বুঝার জন্য নিচে কিছু এক্সাম্পল দিয়েছি। আমাদের চোখে পড়তে কোন অসুবিধা হয় না অবার অল ডিজাইনের লুক দেখতে ভালো লাগে তাই সহজ কথায় বলতে গেলে ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন। 

একটা জিনিস মনে রাখতে হবে আমাদের ডিজাইনের মেইন সোর্স হচ্ছে লোগো। অর্থাৎ লোগো তে যে কালার আমরা পাব সেটাউ ওয়েবসাইটে ব্যবহার করব যেন কালার কম্বিনেশন ঠিক থাকে। ম্যাক্সিমাম কালার কম্বিনেশান এইভাবেই করা হয়। তবে ব্যাতিক্রম তো অবশ্যই আছে যা আমরা শুরুর দিকে করতে গেলে কালার ম্যাচিং হবে না তাই সে দিকে যাচ্ছে না। 

এবং আরেকটি লক্ষনীয় বিষয় হলো সাদা- কালো হলো ডিফল্ট কালার যেটি আমরা সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহার করতে পারি যদিও সেটি আমাদের লেগো কালার না। তবে ব্যকগ্রাউন্ড এবং টেকস্ট যেন ম্যাচিং কালার হয়। যদি ব্যাকগ্রাউন্ড গাড় কালার হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের কে লাইট কালার বা সাদা কালারের টেক্সট ব্যবহার করতে হবে। কিছু উদাহরণ দেখলেই বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে যাবে আশা করি।

IMAGE

 সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট ডিজাইনের সময় এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। আবার কখনো কখনো কালার শেড ব্যবহার করতে হয় মেইন কালার না। কারণ সব জায়গায় মেইন কালার রাখলে তখন ইমপোর্টেন্স টা বা ফোকাস টা কোথায় তা একজন ভিজিটরের কাছে বোধগম্য হয় না। আর আমরা চাই আমার ফোকাস ডিজাইনটাকে অন্য ডিজাইনের থেকে বেশি প্রাধান্য দিতে যদিও সেটা স্বল্প পরিসরে বোঝা অনেক কঠিন। তারপরও এইটা খেয়াল রাখলে অন্তত: একটা ডিজাইন সেন্স আস্তে আস্তে ডেভেলপ করবে।